Youth Champions Tackle Cyber Harassment with Peer Support and Mental Health Training
ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে মানসিক স্বাস্থ্য ফার্স্ট এইড
August 15, 2025
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইন ঝুঁকির হার। সাইবার বুলিং ও ঘৃণাসূচক বক্তব্যের কারণে তরুণরা, বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানুষেরা প্রায়ই নিজেদের অসহায় ও অবহেলিত বোধ করছেন। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চেঞ্জমেকার হিসেবে এগিয়ে এসেছেন।
ইউএনডিপি-এর পার্টনারশিপস্ ফর এ টলারেন্ট, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি) প্রজেক্ট ও আইসিটি বিভাগের সহায়তায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে মানসিক স্বাস্থ্য ফার্স্ট এইডের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনলাইন নিপীড়ন ও মানসিক চাপে থাকা নিজেদের সহপাঠীদের সহায়তার জন্য এরপর তারা যুক্ত হন নিজেদের ক্যাম্পাস কাউন্সেলিং নেটওয়ার্কে।
এরপ্রভাব ছিল ব্যাপক, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। মাত্র এক বছরের মধ্যে কাউন্সেলিং এর পরিমাণ ৮ গুণ বৃদ্ধি পায়। প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সাইবার নিপীড়নের শিকার হওয়া ৪৬৩ জন সহপাঠীকে সহায়তা করেন। এর মধ্যে ১৫২ জনকে পেশাদার কাউন্সেলিং সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ৪০টি গুরুতর ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হয়েছে, যাতে ভুক্তভোগীরা মানসিক সহায়তার পাশাপাশি আইনি সুরক্ষাও পান।
এইউদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিই ঘটায়নি, এর সাথে ডিজিটাল দুনিয়ায় সুরক্ষার ক্ষেত্রও তৈরি করেছে। এটি মানসিক সহায়তা চাওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জা-ভয় এর বাধা দূর করেছে, সহমর্মী একটা কমিউনিটি গড়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিফেন্ডার ও মানসিক স্বাস্থ্য সহযোগী হিসেবে প্রশিক্ষিতও করে তুলেছে।
‘কেউ যখন অনলাইনে নিপীড়ন বা ক্ষতির শিকার হন, তখন তা অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা জানেন, কেউ কেউ আছেন যারা ঘটনাটা শুনবেন, বুঝবেন এবং কোনো ধরনের সমালোচনা বা দোষারোপ ছাড়াই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবেন।’
নিরাপদ ডিজিটাল পরিসর গঠনে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রেসপন্স ব্যবস্থা তৈরি করার মাধ্যমে তরুণদের দ্বারা পরিচালিত এই মানসিক স্বাস্থ্য উদ্যোগটি বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে সামনের সারিতে থেকে ভূমিকা পালন করছে।