পার্বত্য চট্রগ্রামের পানি সমস্যা সমাধানে সরকার, ইউএনডিপি ও ইউএসআইডি একসাথে কাজ করবে

August 22, 2023

ইউএসএআইডি ও ইউএনডিপির উদ্যোগে ওয়াটারশেড কো-ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটির আলোচনা অনুষ্ঠান

©UNDP Bangladesh

বিশেষজ্ঞরা একটি আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্র গ্রামে পানি সমস্যা সমাধানে বন সংরক্ষনের উপর গুরূত্বারোপ করেছেন । পার্বত্য চট্রগ্রামের পানি সমস্যা নিয়ে আজ (২২ শে আগস্ট) শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্রগ্রাম কমপ্লেক্স মিলয়াতনে এক ওয়ার্কশপে বক্তার এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচি ইউএনডিপি পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে যাতে বক্তারা বনভুমির পাশাপাশি জলাশয় সংরক্ষণ ও যথাযথ ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরূত্বারোপ করেন ।

ইউএসএআইডির অর্থায়নে ইউএনডিপি পার্বত্য চট্রগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসুচির আওতাধীন ওয়াটারশেড কোম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটি একটি যুগান্তকারি উদ্যোগ যা আগস্ট ২০১৩ সালে শুরূ হয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগীতায় ৬৫,০০০ হেক্টর বনভুমি ও সংলগ্ন কমিউনিটির ব্যবস্থাপনায় ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ, বন বিভাগ, আশিকা, তাজিংডং এবং তৃণমুলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়িত হয়।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল অংশীজনের সাথে মিলে যৌথ পানিসরবরাহের ব্যবস্থাপনা । সভায় অংশগ্রহণকারিরা কো-ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটির বিভিন্ন কর্মসুচির সাফল্য ও কার্যকারিতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন ও তাদের মতামত তুলে ধরেন। বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার পাশাপাশি স্থায়িত্বশীল জীবিকায়ন নিশ্চিত হয়েছে ।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । ”আগে পার্বত্য চট্রগ্রাম যথেষ্ট প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলাধারে সমৃদ্ধ ছিল; কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশায বেপরোয়া সম্পদ আহরণের কারনে পার্বত্য চট্রগ্রামের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে”- বলেন মো: মশিউর রহমান ।

ইউএনডিপি’র ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালী দায়ারত্ন বলেন, ’পরিবেশ ও বন রক্ষায় সচেতনতা তৈরী আমাদের কাজের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য । শিক্ষা ও সচেনতনামুলক কার্যক্রম ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় গণসচেতনা তৈরী ও আমাদের জীবনে পরিবেশের গুরূত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট”।

ইউএসএআইডি বাংলাদেশে’র ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের ডিরেক্টর মোহাম্মদ খান অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । ”পার্বত্য চট্রগ্রাম আমাদের কাছে বিশেষ অঞ্চল এবং এই অঞ্চলের জনসাধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউএসএআইডি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

বক্তারা বন সংরক্ষনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার উপর বিশেষ গুরূত্বারোপ করেন। স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মসুচি বাস্তবায়নের উপর বক্তারা জোর দেন যা পার্বত্য চট্রগামের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে ।