Youth-led initiative transforms water security and resilience in remote Rangamati village
পানিই জীবন: সাপছড়ির তরুণরা গ্রামে আনলো নিরাপদ পানির লহর
August 18, 2025
রাঙামাটির সাপছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম গ্রাম দেপ্পোছড়ি পাড়ার ৯২ টি পরিবারের ৩৬০ জন বাসিন্দা একসময় মারাত্মক পানির সংকটে ভুগতেন। শুষ্ক মৌসুমে ঝর্ণা শুকিয়ে যেতো। বর্ষায় পানি থাকলেও তা ছিল কাদা ভর্তি আর অনিরাপদ। নিরাপদ পানি আনার দায়িত্ব পড়তো মূলত বাড়ির নারী ও শিশুদের ওপর, কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশিতা ছিল স্বাস্থ্যঝুঁকির ও বড় একটি কারণ।
এমন অবস্থায় সোবিন চাকমার নেতৃত্বে লজিক (এলওজিআইসি) প্রজেক্টের পিবিসিআরজি স্কিমের আওতায় জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা একদল তরুণএগিয়ে আসেন।স্থানীয়ইউনিয়নপরিষদও গ্রামবাসীর সহায়তায় তারা সৌরশক্তি চালিত রিং-ওয়েলভিত্তিক পানি পরিশোধনও সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন।
প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই থেকে শুরু করে জমির মালিকদের অনুমতি, নির্মাণ সামগ্রী যাচাই এবং নির্মাণ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাশ্রম—প্রতিটি ধাপে তরুণরা সরাসরি অংশ নেন।এমনকি ভয়াবহ বন্যার সময় সোবিনেরতাৎক্ষণিকরিপোর্টিংও নিয়মিত মান নিয়ন্ত্রণপ্রকল্পটিযথাসময়েশেষকরতেসাহায্যকরেছেএবংগ্রামবাসীরনিরাপত্তাওনিশ্চিতকরেছে।
তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে গঠিত অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স কমিটি এখন মাসে মাসে পরিবার প্রতি ৫০ টাকা করে সংগ্রহ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনাও সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তত্ত্বাবধান করছে।প্রযুক্তি পরিচালনাও স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রশিক্ষণ পাওয়া এই তরুণেরা গ্রামবাসীদের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে সেশনও পরিচালনা করছে।
সোবিন চাকমা বলেন, ‘এই প্রকল্পটি প্রমাণ করেছে, তরুণদের দায়িত্ব দিলে তারা শুধু অবকাঠামোই নির্মাণ করেনা, তারা সুস্থ, সহনশীল সমাজও গড়ে তোলে।’
আজ এই গ্রামে পানিবাহিত রোগের হার ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে, নারীদের আর বহুদূর থেকে হেঁটে পানি বয়ে আনতে হয় না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটিকে একটি মডেল হিসেবে বর্ণনা করছেন। সাপছড়ির উদ্যোগটি দেখিয়েছে, তরুণনেতৃত্ব, স্থানীয়জ্ঞানও জলবায়ু সহনশীলতার মাধ্যমে সবচেয়ে দুর্গম এলাকাতেও আনা যায় টেকসই পরিবর্তন।