টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো -এর দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউএনডিপি

February 16, 2024
©UNDP Bangladesh

দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে তরান্বিত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে, “ ইন্সটিটিউশনাল স্ট্রেন্দেনিং ফর প্রোমোটিং একাউন্টেবিলিটি এন্ড ট্রান্সপারেন্সি” (ইস্পাত)  প্রকল্পের আওতায়, বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, আজ অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসে এই বিষয়ে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা যেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে ।

এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন তার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন “এই কাজের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে আরো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো যা বাংলাদেশে এনজিও এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত  করবে  "

এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, "নতুন এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে, যাতে করে আরো দ্রুততার সাথে এবং কার্যকর ভাবে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় "

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে । এই  কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সরকারের সাথে অসংখ্য এনজিও  কাজ করছে, যাদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে ৩৯৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫৮১ হয়েছে। এই প্রতষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মাধ্যমে সারাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এনজিও এর সংখ্যা বাড়লেও তার সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পায়নি ব্যুরোর জনবল। যার ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ধরনের জটিলতা কমিয়ে আনতে এই  প্রকল্প সাহায্য করবে ।

চুক্তি স্বাক্ষরের এই অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।